ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
দেশবর্ণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নামে ইস্যু করা ১১টি চেক ব্যবহার করে চারটি ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি আরামিট পিএলসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম)।

 

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকায় অবস্থিত আরামিট গ্রুপের অফিস থেকে তাকে আটক করা হয়।

দুদকের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন জানান, ইউসিবিএল ব্যাংকের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার আসামি আরামিটের এজিএম জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সই করা চেকগুলোর আসল কপিসহ (মুড়ি) জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের মালিকের অনুপস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া টাকা উত্তোলনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, সাইফুজ্জামানের চেক ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা তোলা হয়।

এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ৪টি চেকে ১ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৩টি চেকে ৩০ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংকের ৩টি চেকে ৩৬ লাখ টাকা ও মেঘনা ব্যাংকের ১টি চেক ব্যবহার করে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়।

গত ২৪ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান বাদী হয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী ও ভাইবোনসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ভিশন ট্রেডিং, আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং খোলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ইউসিবিএল ব্যাংকের চট্টগ্রাম বন্দর শাখায় হিসাব খুলে গম, ছোলা, হলুদ ও মোটর আমদানির নামে ২৫ কোটি টাকার টাইমলোন অনুমোদন করানো হয়।

ব্যাংকের নিজস্ব ক্রেডিট কমিটির ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ উপেক্ষা করে ২০২০ সালের ৮ মার্চ পরিচালনা পর্ষদ ওই ঋণ অনুমোদন দেয়। এরপর সেই টাকা ভাগ করে একই ব্যাংকের চারটি হিসাব নম্বরে স্থানান্তর ও পরে নগদে উত্তোলন করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, টাকা স্থানান্তর করা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আরামিট গ্রুপের কর্মচারী। নগদ উত্তোলনের পর আরামিট গ্রুপের হিসাবগুলোতে পে-অর্ডার ও ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা আটক

আপডেট সময় : ০২:৪১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নামে ইস্যু করা ১১টি চেক ব্যবহার করে চারটি ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি আরামিট পিএলসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম)।

 

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকায় অবস্থিত আরামিট গ্রুপের অফিস থেকে তাকে আটক করা হয়।

দুদকের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন জানান, ইউসিবিএল ব্যাংকের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার আসামি আরামিটের এজিএম জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সই করা চেকগুলোর আসল কপিসহ (মুড়ি) জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের মালিকের অনুপস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া টাকা উত্তোলনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, সাইফুজ্জামানের চেক ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা তোলা হয়।

এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ৪টি চেকে ১ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৩টি চেকে ৩০ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংকের ৩টি চেকে ৩৬ লাখ টাকা ও মেঘনা ব্যাংকের ১টি চেক ব্যবহার করে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়।

গত ২৪ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান বাদী হয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী ও ভাইবোনসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ভিশন ট্রেডিং, আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং খোলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ইউসিবিএল ব্যাংকের চট্টগ্রাম বন্দর শাখায় হিসাব খুলে গম, ছোলা, হলুদ ও মোটর আমদানির নামে ২৫ কোটি টাকার টাইমলোন অনুমোদন করানো হয়।

ব্যাংকের নিজস্ব ক্রেডিট কমিটির ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ উপেক্ষা করে ২০২০ সালের ৮ মার্চ পরিচালনা পর্ষদ ওই ঋণ অনুমোদন দেয়। এরপর সেই টাকা ভাগ করে একই ব্যাংকের চারটি হিসাব নম্বরে স্থানান্তর ও পরে নগদে উত্তোলন করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, টাকা স্থানান্তর করা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আরামিট গ্রুপের কর্মচারী। নগদ উত্তোলনের পর আরামিট গ্রুপের হিসাবগুলোতে পে-অর্ডার ও ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে।