ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী লীগের নাশকতা ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে বাঁশের লাঠি ও পতাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo গাজীপুরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ বাসে আগুন Logo গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াভহ সংঘর্ষ, আহত ১০ Logo ড. মিজানুর রহমান আজহারির বই নকলের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ডিবি Logo টিকটকার সাদাফ ফারিণের বেপরোয়া জীবন, নাটক সাজিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা Logo অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা Logo সারা দেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার Logo হ্যাঁ না পোস্টের ফেসবুকে তোলপাড় Logo ১২৭ জনের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ভুয়া জুলাইযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ

অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দটি ব্যবহার করায় আমি বিব্রত ও দুঃখিত : (এনসিপি) নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৬৩৬ বার পড়া হয়েছে
দেশবর্ণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনাকে ‌‘ভুয়া ধর্ষণ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ। এ নিয়ে বিতর্ক হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে তিনি সমালোচিত হন।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ পরে জানান, এই অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ ব্যবহার করার জন্য তিনি ‘বিব্রত ও দুঃখিত’৷  হান্নান এবার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ ধর্ষকের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ, পরবর্তী বিক্ষোভ-সহিংসতা ও  তিনজন গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় এনসিপির বিরুদ্ধে নীরবতার অভিযোগ তুলে  আজ সোমবার সকালে পদত্যাগ করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একমাত্র প্রতিনিধি অলিক মৃ পদত্যাগের কারণ হিসেবে অলিক মৃ হান্নান মাসউদের ‘ভুয়া ধর্ষণ’ শব্দচয়নকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানানোর কথাও বলেছেন৷

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদ থেকে অলিক মৃর পদত্যাগের ঘোষণার কিছুক্ষণ পর হান্নান মাসউদ এক ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘আবারও বলছি একটি ধর্ষণের ঘটনাকে সামনে এনে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে৷আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে যারা হুমকির মুখে ফেলবে, তাদের বিরুদ্ধে আমি জীবন দিয়েও লড়ে যাব৷ এদেশের একটি ধূলিকণা নিয়েও কাউকে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না৷ এসব ফালতু সুশীলগিরি এবার থামান।’

তবে কিছুক্ষণ পর ওই পোস্ট মুছে দেন  হান্নান মাসউদ৷ বেলা দুইটার কিছু পরে আরেকটি পোস্ট দেন তিনি৷ সেখানে হান্নান লিখেছেন, ‘গতকাল (রবিবার) দ্বীপ হাতিয়ার (নোয়াখালী জেলার একটি উপজেলা) চানন্দী ইউনিয়নে এক সমাবেশে আমি ভুলবশত ও তাৎক্ষণিকভাবে ‘ভুয়া ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার করে ফেলি, যা কোনোভাবেই আমার ইন্টেনশন (উদ্দেশ্য) ছিল না৷ ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ ধর্ষকের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে৷ এই অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দটি ব্যবহার করায় আমি বিব্রত ও দুঃখিত আশা করি, আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক ও সমালোচকেরা এটাকে আমার মুহূর্তের ভুল হিসেবেই বিবেচনা করবেন৷

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দটি ব্যবহার করায় আমি বিব্রত ও দুঃখিত : (এনসিপি) নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ

আপডেট সময় : ০১:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনাকে ‌‘ভুয়া ধর্ষণ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ। এ নিয়ে বিতর্ক হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে তিনি সমালোচিত হন।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ পরে জানান, এই অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ ব্যবহার করার জন্য তিনি ‘বিব্রত ও দুঃখিত’৷  হান্নান এবার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ ধর্ষকের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ, পরবর্তী বিক্ষোভ-সহিংসতা ও  তিনজন গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় এনসিপির বিরুদ্ধে নীরবতার অভিযোগ তুলে  আজ সোমবার সকালে পদত্যাগ করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একমাত্র প্রতিনিধি অলিক মৃ পদত্যাগের কারণ হিসেবে অলিক মৃ হান্নান মাসউদের ‘ভুয়া ধর্ষণ’ শব্দচয়নকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানানোর কথাও বলেছেন৷

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদ থেকে অলিক মৃর পদত্যাগের ঘোষণার কিছুক্ষণ পর হান্নান মাসউদ এক ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘আবারও বলছি একটি ধর্ষণের ঘটনাকে সামনে এনে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে৷আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে যারা হুমকির মুখে ফেলবে, তাদের বিরুদ্ধে আমি জীবন দিয়েও লড়ে যাব৷ এদেশের একটি ধূলিকণা নিয়েও কাউকে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না৷ এসব ফালতু সুশীলগিরি এবার থামান।’

তবে কিছুক্ষণ পর ওই পোস্ট মুছে দেন  হান্নান মাসউদ৷ বেলা দুইটার কিছু পরে আরেকটি পোস্ট দেন তিনি৷ সেখানে হান্নান লিখেছেন, ‘গতকাল (রবিবার) দ্বীপ হাতিয়ার (নোয়াখালী জেলার একটি উপজেলা) চানন্দী ইউনিয়নে এক সমাবেশে আমি ভুলবশত ও তাৎক্ষণিকভাবে ‘ভুয়া ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার করে ফেলি, যা কোনোভাবেই আমার ইন্টেনশন (উদ্দেশ্য) ছিল না৷ ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ ধর্ষকের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে৷ এই অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দটি ব্যবহার করায় আমি বিব্রত ও দুঃখিত আশা করি, আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক ও সমালোচকেরা এটাকে আমার মুহূর্তের ভুল হিসেবেই বিবেচনা করবেন৷