ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তরুণ ভোটারদের নিয়ে আশাবাদী জামায়াত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
দেশবর্ণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের রাজনীতির মাঠ এখন গরম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন—আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের ফল নির্ধারণে তরুণ ভোটাররাই হবে মূল শক্তি।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে প্রায় ৪ কোটি তরুণ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ায় জামায়াত ইসলামীর নেতারা আত্মবিশ্বাসী যে, তরুণ ভোটাররাই জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলেও প্রভাব ফেলবে।

তারা মনে করেন, তরুণরা শুধু নিজেরাই নয়—বরং পরিবারের অন্যান্য ভোটারকেও প্রভাবিত করবে ভোটের ক্ষেত্রে। এতে জাতীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সামনে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন ঘিরেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। জামায়াত আশাবাদী, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সাফল্য তাদের জাতীয় রাজনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে—দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটির বেশি। এর মধ্যে চার কোটি ভোটার তরুণ, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে। এদের প্রায় ৩০ শতাংশই আগামী নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও আশা প্রকাশ করেছেন, তরুণরা শতভাগ উপস্থিত থেকে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য গড়ে তুলবে। এখন দেখার বিষয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তরুণ ভোটারদের নিয়ে আশাবাদী জামায়াত

আপডেট সময় : ১০:৩৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের রাজনীতির মাঠ এখন গরম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন—আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের ফল নির্ধারণে তরুণ ভোটাররাই হবে মূল শক্তি।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে প্রায় ৪ কোটি তরুণ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ায় জামায়াত ইসলামীর নেতারা আত্মবিশ্বাসী যে, তরুণ ভোটাররাই জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলেও প্রভাব ফেলবে।

তারা মনে করেন, তরুণরা শুধু নিজেরাই নয়—বরং পরিবারের অন্যান্য ভোটারকেও প্রভাবিত করবে ভোটের ক্ষেত্রে। এতে জাতীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সামনে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন ঘিরেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। জামায়াত আশাবাদী, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সাফল্য তাদের জাতীয় রাজনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে—দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটির বেশি। এর মধ্যে চার কোটি ভোটার তরুণ, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে। এদের প্রায় ৩০ শতাংশই আগামী নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও আশা প্রকাশ করেছেন, তরুণরা শতভাগ উপস্থিত থেকে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য গড়ে তুলবে। এখন দেখার বিষয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে।