ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাল্য বিয়ে আয়োজনে দুই মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫৬৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

দেশবর্ণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বাল্য বিয়ে আয়োজনের দায়ে বর বাহারুল ইসলামকে (২৫) দুই মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ রায় প্রদান করেন।

উপজেলার নাজিরপুর নতুনপাড়া গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে (পিতা শামসুল হক) বাল্যবিয়ে থেকে উদ্ধার করা হয়। ইতি খাতুন জানান, পিতা-মাতা ও স্থানীয়দের চাপে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়ের প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। তবে সময়মতো প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জানান যে তিনি পড়াশোনা ও খেলাধুলা অব্যাহত রাখতে পারবেন।

বর বাহারুল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় ব্যবসায়ী। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব আলী জানান, বারবার নিষেধ সত্ত্বেও কন্যার পিতা বাল্যবিয়ের আয়োজন থেকে বিরত থাকেননি।

নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ইতি মেধাবী ও সক্রিয় শিক্ষার্থী। পরিবার থেকে জোর করে তাকে বিয়ে দিতে চাইলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর বিরোধিতা করেছে। তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনার উদাহরণ আলোচনা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয় এবং মেয়ের পরিবারকে সতর্ক করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাল্য বিয়ে আয়োজনে দুই মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বাল্য বিয়ে আয়োজনের দায়ে বর বাহারুল ইসলামকে (২৫) দুই মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ রায় প্রদান করেন।

উপজেলার নাজিরপুর নতুনপাড়া গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে (পিতা শামসুল হক) বাল্যবিয়ে থেকে উদ্ধার করা হয়। ইতি খাতুন জানান, পিতা-মাতা ও স্থানীয়দের চাপে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়ের প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। তবে সময়মতো প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জানান যে তিনি পড়াশোনা ও খেলাধুলা অব্যাহত রাখতে পারবেন।

বর বাহারুল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় ব্যবসায়ী। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব আলী জানান, বারবার নিষেধ সত্ত্বেও কন্যার পিতা বাল্যবিয়ের আয়োজন থেকে বিরত থাকেননি।

নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ইতি মেধাবী ও সক্রিয় শিক্ষার্থী। পরিবার থেকে জোর করে তাকে বিয়ে দিতে চাইলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর বিরোধিতা করেছে। তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনার উদাহরণ আলোচনা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয় এবং মেয়ের পরিবারকে সতর্ক করা হয়।