উপদেষ্টাদের নির্বাচনের খায়েশ জেগেছে তারা শেখ হাসিনার মতো দুর্নীতিবাজ: কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন
- আপডেট সময় : ০৭:৩৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ৬১১ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক জোট।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জোটের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাব্য যে কোনো উদ্যোগের তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা জানানো হয় এতে।
জোটের পক্ষ থেকে মানববন্ধনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ, টেকসই সংস্কার, কালো আইন বাতিল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এসব দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেবো বলেও ঘোষণা করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা হলো একটি সুষ্ঠু ও সুষম নির্বাচন। দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার জন্য তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা জোর দিয়ে বলেন, যারা বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদে আছেন, তাদের কোনো অবস্থাতেই আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উচিত হবে না।
গ্রীন পার্টির সভাপতি রাজু আহমেদ খান বলেন, আমরা চাই উপদেষ্টারা একটি সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবেন। জনগণের আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন বলেন, জনগণের দাবি নিয়ে আমরা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলাম। সেই দাবি অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান, আপনারা দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। যারা উপদেষ্টা পরিষদে আছে তারা কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
জনতার অধিকার পার্টির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা চাই না এই উপদেষ্টারা পরবর্তী সময় সংসদে গিয়ে আওয়ামী লীগের মতো সংসদকে কলঙ্কিত করুক।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন বলেন, যে উপদেষ্টাদের নির্বাচনের খায়েশ জেগেছে তারা শেখ হাসিনার মতো দুর্নীতিবাজ। গত এক বছরে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে এবং এই কালো টাকা নির্বাচনে ব্যবহার করবে।
আমজনতা দলের সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান বলেন, উপদেষ্টারা সরকারি টাকায় নির্বাচন করার ছক কষেছে। তারা নির্বাচনের উদ্দেশ্যে এক উপজেলায় ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়েছে। যাদের নির্বাচনের আগ্রহ দেখা দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জোটের নেতাকর্মীরা সংসদ ভবনের ৬ নম্বর গেট দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।


























































