ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী লীগের নাশকতা ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে বাঁশের লাঠি ও পতাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo গাজীপুরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ বাসে আগুন Logo গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াভহ সংঘর্ষ, আহত ১০ Logo ড. মিজানুর রহমান আজহারির বই নকলের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ডিবি Logo টিকটকার সাদাফ ফারিণের বেপরোয়া জীবন, নাটক সাজিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা Logo অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা Logo সারা দেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার Logo হ্যাঁ না পোস্টের ফেসবুকে তোলপাড় Logo ১২৭ জনের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ভুয়া জুলাইযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ

পাচার করে আনা বাংলাদেশিদের অনেককেই পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিলেন গুরু মাতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫৮৩ বার পড়া হয়েছে

অভিযুক্ত বাবু আয়ান খান, ওরফে জ্যোতি, ওরফে ‘গুরু মাতা’।

দেশবর্ণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে গত ৩০ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন এক বাংলাদেশি রূপান্তরকামী। ২০০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে পাচারের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

অভিযুক্তের নাম বাবু আয়ান খান, ওরফে জ্যোতি, ওরফে ‘গুরু মাতা’। মুম্বাই পুলিশের দাবি, জ্যোতির সাহায্যে পাচার হয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেফতারকৃত আয়ান খান ওরফে জ্যোতি মুম্বাইয়ের ট্রান্সজেন্ডারদের কাছে ‘গুরু মাতা’ নামে পরিচিত। তিনি সেখানে একজন আধ্যাত্মিক নারী হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন। বলিউডি শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার ৩০০ অনুগামীও ছড়িয়ে আছে।

মুম্বাই পুলিশ জানায়, এই জ্যোতি ওরফে ‘গুরু মাতা’ নিজেকে ভারতীয় নাগরিক দাবি করার জন্য একটি জাল জন্ম সনদ, আধার কার্ড (পরিচয়পত্র) এবং প্যান কার্ড তৈরি করিয়েছিলেন।

তবে, সম্প্রতি পুলিশ যখন তার নথিপত্র যাচাই করে, তখন সেগুলো জাল প্রমাণিত হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 ‘গুরু মাতা’র পাচারকারী নেটওয়ার্ক পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের প্রবেশের সুযোগ করে দিত। ভারতে ঢুকে পড়ার পর সেই বাংলাদেশিদের কয়েকদিনের জন্য কলকাতায় রাখা হত। সেখানে তাদের জন্ম সনদ এবং স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট তৈরি করা হত। এরপর তাদের মুম্বাইয়ে নিয়ে আসা হত এবং শিবাজি নগরে রাখা হত। প্রতি ঘরে ৩-৪ জন বাংলাদেশি থাকত এবং তারা ‘গুরু মাতা’কে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাড়া দিত।

তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো- পাচার করে আনা বাংলাদেশিদের অনেককেই তিনি পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাচার করে আনা বাংলাদেশিদের অনেককেই পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিলেন গুরু মাতা

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে গত ৩০ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন এক বাংলাদেশি রূপান্তরকামী। ২০০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে পাচারের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

অভিযুক্তের নাম বাবু আয়ান খান, ওরফে জ্যোতি, ওরফে ‘গুরু মাতা’। মুম্বাই পুলিশের দাবি, জ্যোতির সাহায্যে পাচার হয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেফতারকৃত আয়ান খান ওরফে জ্যোতি মুম্বাইয়ের ট্রান্সজেন্ডারদের কাছে ‘গুরু মাতা’ নামে পরিচিত। তিনি সেখানে একজন আধ্যাত্মিক নারী হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন। বলিউডি শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার ৩০০ অনুগামীও ছড়িয়ে আছে।

মুম্বাই পুলিশ জানায়, এই জ্যোতি ওরফে ‘গুরু মাতা’ নিজেকে ভারতীয় নাগরিক দাবি করার জন্য একটি জাল জন্ম সনদ, আধার কার্ড (পরিচয়পত্র) এবং প্যান কার্ড তৈরি করিয়েছিলেন।

তবে, সম্প্রতি পুলিশ যখন তার নথিপত্র যাচাই করে, তখন সেগুলো জাল প্রমাণিত হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 ‘গুরু মাতা’র পাচারকারী নেটওয়ার্ক পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের প্রবেশের সুযোগ করে দিত। ভারতে ঢুকে পড়ার পর সেই বাংলাদেশিদের কয়েকদিনের জন্য কলকাতায় রাখা হত। সেখানে তাদের জন্ম সনদ এবং স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট তৈরি করা হত। এরপর তাদের মুম্বাইয়ে নিয়ে আসা হত এবং শিবাজি নগরে রাখা হত। প্রতি ঘরে ৩-৪ জন বাংলাদেশি থাকত এবং তারা ‘গুরু মাতা’কে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাড়া দিত।

তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো- পাচার করে আনা বাংলাদেশিদের অনেককেই তিনি পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিলেন।