ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী লীগের নাশকতা ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে বাঁশের লাঠি ও পতাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo গাজীপুরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ বাসে আগুন Logo গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াভহ সংঘর্ষ, আহত ১০ Logo ড. মিজানুর রহমান আজহারির বই নকলের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ডিবি Logo টিকটকার সাদাফ ফারিণের বেপরোয়া জীবন, নাটক সাজিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা Logo অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা Logo সারা দেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার Logo হ্যাঁ না পোস্টের ফেসবুকে তোলপাড় Logo ১২৭ জনের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ভুয়া জুলাইযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ

মাঝ আকাশে আচমকাই যাত্রীবাহী বিমানে আগুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
দেশবর্ণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাঝ আকাশে আচমকাই যাত্রীবাহী বিমানে আগুন। সোমবার ‘ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া’-র একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কেবিন ক্রুদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, এক যাত্রীর লাগেজে রাখা পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকেই এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে।

 

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে হোবার্ট যাচ্ছিল বিমানটি। জানা গিয়েছে, অবতরণের কিছুক্ষণ আগেই হঠাৎ করে ‘ভিএ১৫২৮’ নম্বরের বিমানটির ওভারহেড লকার থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেই ধোঁয়ার সঙ্গে আগুনও ছড়াতে শুরু করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। তবে কোনওরকম দেরি না করে কেবিন ক্রুরা সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।

পরে জানা যায়, বিমানের এক যাত্রীর মালপত্রের মধ্যেই ছিল একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক। সেখান থেকেই আগুন ধরে যায়। কেবিন কর্মীরা দ্রুত সেই ব্যাগটি সরিয়ে ফেলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

 

ঘটনার সময় বিমানে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। কারও গুরুতর কোনও ক্ষতি হয়নি। একজন যাত্রীর সামান্য শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি এখন সুস্থ বলেই জানা গিয়েছে।

খবর পেতেই হোবার্ট বিমানবন্দরে জরুরি পরিষেবা দল প্রস্তুত করা হয়। বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়।

 

‘ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া’-র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার যাত্রী এবং কর্মীদের নিরাপত্তা। এই ঘটনায় যাঁরা তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’ এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি কীভাবে আগুন লেগেছিল। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।

 

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো (ATSB) এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন সেফটি অথরিটি (CASA)। যদি প্রমাণিত হয় যে পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকেই আগুন লেগেছে, তবে বিমানে লিথিয়াম ব্যাটারির ব্যবহার সংক্রান্ত নিয়ম ফের একবার পর্যালোচনা করতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাঝ আকাশে আচমকাই যাত্রীবাহী বিমানে আগুন

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

মাঝ আকাশে আচমকাই যাত্রীবাহী বিমানে আগুন। সোমবার ‘ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া’-র একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কেবিন ক্রুদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, এক যাত্রীর লাগেজে রাখা পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকেই এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে।

 

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে হোবার্ট যাচ্ছিল বিমানটি। জানা গিয়েছে, অবতরণের কিছুক্ষণ আগেই হঠাৎ করে ‘ভিএ১৫২৮’ নম্বরের বিমানটির ওভারহেড লকার থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেই ধোঁয়ার সঙ্গে আগুনও ছড়াতে শুরু করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। তবে কোনওরকম দেরি না করে কেবিন ক্রুরা সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।

পরে জানা যায়, বিমানের এক যাত্রীর মালপত্রের মধ্যেই ছিল একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক। সেখান থেকেই আগুন ধরে যায়। কেবিন কর্মীরা দ্রুত সেই ব্যাগটি সরিয়ে ফেলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

 

ঘটনার সময় বিমানে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। কারও গুরুতর কোনও ক্ষতি হয়নি। একজন যাত্রীর সামান্য শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি এখন সুস্থ বলেই জানা গিয়েছে।

খবর পেতেই হোবার্ট বিমানবন্দরে জরুরি পরিষেবা দল প্রস্তুত করা হয়। বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়।

 

‘ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া’-র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার যাত্রী এবং কর্মীদের নিরাপত্তা। এই ঘটনায় যাঁরা তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’ এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি কীভাবে আগুন লেগেছিল। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।

 

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো (ATSB) এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন সেফটি অথরিটি (CASA)। যদি প্রমাণিত হয় যে পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকেই আগুন লেগেছে, তবে বিমানে লিথিয়াম ব্যাটারির ব্যবহার সংক্রান্ত নিয়ম ফের একবার পর্যালোচনা করতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।