ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী লীগের নাশকতা ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে বাঁশের লাঠি ও পতাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo গাজীপুরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ বাসে আগুন Logo গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াভহ সংঘর্ষ, আহত ১০ Logo ড. মিজানুর রহমান আজহারির বই নকলের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ডিবি Logo টিকটকার সাদাফ ফারিণের বেপরোয়া জীবন, নাটক সাজিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা Logo অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা Logo সারা দেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার Logo হ্যাঁ না পোস্টের ফেসবুকে তোলপাড় Logo ১২৭ জনের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ভুয়া জুলাইযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না :ঢাবি উপাচার্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৭:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫৮৬ বার পড়া হয়েছে
দেশবর্ণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়।

রোববার প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে ঢাবি ভিসি বলেন, সব নিয়ম মেনে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ও প্রার্থীর বিবেচনায় দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত পরিমাণ ব্যালট ছাপানোর স্বার্থে আমাদের মূল ভেন্ডরের সাথে আলোচনা করে সমযোগ্য একটি সহযোগী/এসোসিয়েট প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের অধীনে কাজে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়।

ঢাবি ভিসি বলেন, ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। এরপর সুরক্ষা কোড আরোপ ও ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলে তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে ডাকসুর ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডাকসুর ব্যালটের কার্যাদেশ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। এতে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬০ হাজার ৩১৮ রয়ে গিয়েছিল।

নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর তথ্যটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগী ভেন্ডর অবহিত করেনি জানিয়ে ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ভেন্ডরের তথ্য অনুযায়ী, সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ দিয়ে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়। যা থেকে প্রিন্টিং, কাটিং, প্রি-স্ক্যান পর্ব শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যালট প্যাকেটে সিলগালা করে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালটগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে নষ্ট করে ফেলা হয়।

ভেন্ডর আরও জানায়, নীলক্ষেতে কাটিং শেষে প্রি-স্ক্যান ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারা তাদের মূল অফিসে এনে প্রি-স্ক্যান সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেটে ভরে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহ করে। তারা ব্যালট প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় ও আনা-নেওয়ায় চুক্তি মোতাবেক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ব্যস্ততার কারণে কর্তৃপক্ষকে নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে যায় বলে স্বীকার করে।

উপাচার্য বলেন, এটা পরিস্কারভাবে অনুধাবনযোগ্য যে, ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। তারপর সুরক্ষা কোড আরোপ করে ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলেই তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে (DUE DILIGENCE) ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না :ঢাবি উপাচার্য

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়।

রোববার প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে ঢাবি ভিসি বলেন, সব নিয়ম মেনে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ও প্রার্থীর বিবেচনায় দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত পরিমাণ ব্যালট ছাপানোর স্বার্থে আমাদের মূল ভেন্ডরের সাথে আলোচনা করে সমযোগ্য একটি সহযোগী/এসোসিয়েট প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের অধীনে কাজে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়।

ঢাবি ভিসি বলেন, ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। এরপর সুরক্ষা কোড আরোপ ও ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলে তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে ডাকসুর ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডাকসুর ব্যালটের কার্যাদেশ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। এতে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬০ হাজার ৩১৮ রয়ে গিয়েছিল।

নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর তথ্যটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগী ভেন্ডর অবহিত করেনি জানিয়ে ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ভেন্ডরের তথ্য অনুযায়ী, সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ দিয়ে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়। যা থেকে প্রিন্টিং, কাটিং, প্রি-স্ক্যান পর্ব শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যালট প্যাকেটে সিলগালা করে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালটগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে নষ্ট করে ফেলা হয়।

ভেন্ডর আরও জানায়, নীলক্ষেতে কাটিং শেষে প্রি-স্ক্যান ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারা তাদের মূল অফিসে এনে প্রি-স্ক্যান সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেটে ভরে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহ করে। তারা ব্যালট প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় ও আনা-নেওয়ায় চুক্তি মোতাবেক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ব্যস্ততার কারণে কর্তৃপক্ষকে নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে যায় বলে স্বীকার করে।

উপাচার্য বলেন, এটা পরিস্কারভাবে অনুধাবনযোগ্য যে, ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। তারপর সুরক্ষা কোড আরোপ করে ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলেই তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে (DUE DILIGENCE) ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।