ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাপলা ছাড়া আমরা কোনো বিকল্প প্রতীক নেবো না: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫২৯ বার পড়া হয়েছে
দেশবর্ণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইসি বর্তমানে এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা স্বচ্ছ, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। তার মতে, কমিশনের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারিতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরাচারের দিকেই ইঙ্গিত করছে।

 

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসনাত আবদুল্লাহ এই অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ইসি বর্তমানে এমনভাবে পরিচালিত হচ্ছে যেন তাদের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। প্রশ্ন ওঠে—কেন এমন অভিযোগ? হাসনাতের দাবি, ইসির মূল সিদ্ধান্ত আসলে অন্য কারও হাতে রয়েছে, তারা শুধু নির্দেশ পালন করছে।

 

হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, “নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আগারগাঁও থেকে হয় না। নির্বাচন কমিশনের রিমোট অন্য কারও হাতে। তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ইসি এখন আর স্বাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, বরং নির্দিষ্ট মহলের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, এনসিপি দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চিহ্ন চেয়ে তারা আবেদন করেছিলেন, কিন্তু ইসি সেই প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি। এ বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। তারা শাপলা না দেওয়ার পক্ষে কোনো আইনগত ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই। শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”

 

হাসনাতের অভিযোগ, ইসি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে একধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কীভাবে রাজনৈতিক দলের প্রতীক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বিধিমালায়, আর শাপলা কেন অন্তর্ভুক্ত হয়নি—এসব নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা নেই।” তার মতে, এটি কমিশনের অদক্ষতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণেরই প্রমাণ।

 

এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডকে ‘মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাহদের মতো’ বলে আখ্যা দেন। তার ভাষায়, “নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে তারা প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তগুলো জনগণের মতামতের প্রতিফলন নয়, বরং কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপে নেওয়া।”

 

এনসিপি নেতা বলেন, “শাপলা না দেওয়া নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণ। মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন যে প্রতিষ্ঠান বা দল নিয়োগ দিয়েছে তাদের পারপাস সার্ভ করছে।” তিনি আরও দাবি করেন, তাদের দল ‘শাপলা’ ছাড়া অন্য কোনো প্রতীক গ্রহণ করবে না, কারণ সেই প্রতীকই দলের পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

 

হাসনাত বলেন, “শাপলার বিকল্প নেই। আমরা কোনো বিকল্প প্রতীক নেবো না। ইসি কেন শাপলা প্রতীক দেবে না, তার কোনো আইনগত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এতে বোঝা যাচ্ছে, তারা ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শাপলা ছাড়া আমরা কোনো বিকল্প প্রতীক নেবো না: হাসনাত আবদুল্লাহ

আপডেট সময় : ১০:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইসি বর্তমানে এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা স্বচ্ছ, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। তার মতে, কমিশনের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারিতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরাচারের দিকেই ইঙ্গিত করছে।

 

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসনাত আবদুল্লাহ এই অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ইসি বর্তমানে এমনভাবে পরিচালিত হচ্ছে যেন তাদের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। প্রশ্ন ওঠে—কেন এমন অভিযোগ? হাসনাতের দাবি, ইসির মূল সিদ্ধান্ত আসলে অন্য কারও হাতে রয়েছে, তারা শুধু নির্দেশ পালন করছে।

 

হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, “নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আগারগাঁও থেকে হয় না। নির্বাচন কমিশনের রিমোট অন্য কারও হাতে। তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ইসি এখন আর স্বাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, বরং নির্দিষ্ট মহলের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, এনসিপি দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চিহ্ন চেয়ে তারা আবেদন করেছিলেন, কিন্তু ইসি সেই প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি। এ বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। তারা শাপলা না দেওয়ার পক্ষে কোনো আইনগত ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই। শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”

 

হাসনাতের অভিযোগ, ইসি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে একধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কীভাবে রাজনৈতিক দলের প্রতীক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বিধিমালায়, আর শাপলা কেন অন্তর্ভুক্ত হয়নি—এসব নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা নেই।” তার মতে, এটি কমিশনের অদক্ষতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণেরই প্রমাণ।

 

এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডকে ‘মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাহদের মতো’ বলে আখ্যা দেন। তার ভাষায়, “নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে তারা প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তগুলো জনগণের মতামতের প্রতিফলন নয়, বরং কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপে নেওয়া।”

 

এনসিপি নেতা বলেন, “শাপলা না দেওয়া নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণ। মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন যে প্রতিষ্ঠান বা দল নিয়োগ দিয়েছে তাদের পারপাস সার্ভ করছে।” তিনি আরও দাবি করেন, তাদের দল ‘শাপলা’ ছাড়া অন্য কোনো প্রতীক গ্রহণ করবে না, কারণ সেই প্রতীকই দলের পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

 

হাসনাত বলেন, “শাপলার বিকল্প নেই। আমরা কোনো বিকল্প প্রতীক নেবো না। ইসি কেন শাপলা প্রতীক দেবে না, তার কোনো আইনগত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এতে বোঝা যাচ্ছে, তারা ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।”