কেনো বাড়ছে জামায়াতের সাথে এনসিপির দূরত্ব ?
- আপডেট সময় : ০৫:০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৫৯২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির—এনসিপির দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত।
অতীত কয়েক মাস ধরে যুগপথ আন্দোলনের মঞ্চে দু’দলকে একসাথে দেখা গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু রাজনৈতিক ইস্যুতে তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য।
বিশেষ করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে দ্বন্দ্বই সামনে এনেছে এই ফাটল।
জামায়াত উচ্চ কক্ষে ও নিন্ম কক্ষে পিআর পদ্ধতি প্রয়োগের দাবি তুললেও এনসিপি সীমিতভাবে শুধুমাত্র উচ্চকক্ষে এর প্রয়োগে আগ্রহী। এই মতবিরোধের কারণে এনসিপি শেষ মুহূর্তে যুগপথ আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়, ফলে জামায়াত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ঠিক কাদের কে এই মূহুর্তে একত্রিত করে কর্মসূচি পালন করতে হবে।
এনসিপির দলীয় অভ্যন্তরেও বিভক্তি স্পষ্ট। একাংশ মনে করছে জামায়াতের সঙ্গে ভোটে গেলে দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক ক্ষতি হতে পারে। বামপন্থী নেতারা আবার ধর্মভিত্তিক জোটের বিরোধিতা করছেন। ফলে এনসিপি আপাতত কোনও জোটে না যাওয়ার কৌশল নিয়েছে।
ছাত্রসংসদ নির্বাচনেও দেখা দিয়েছে হতাশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এনসিপি সমর্থিত সংগঠন বাগছাস ভরাডুবি করলেও ইসলামী ছাত্রশিবির নিরংকুশ সাফল্য পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিন্ন মতাদর্শের তরুণদের নিয়ে গড়ে ওঠা নতুন দল এনসিপির জন্য সমন্বয় করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই তারা আপাতত নিজেদের কর্মসূচি ও রাজনৈতিক পরিচিতি গড়ে তুলতে ব্যস্ত, আর জামায়াত সেটিকে দেখছে কৌশলগত বিচ্ছিন্নতা হিসেবে।
ফলে প্রশ্ন এখন একটাই—আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে জামায়াত–এনসিপি সম্পর্কের এই দূরত্ব সাময়িক, নাকি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ভিন্নতার সূচনা?











































