এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন না ভাইরাল হওয়া সেই ছাত্রী স্নেহা মনি
- আপডেট সময় : ০৪:০০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫১৭ বার পড়া হয়েছে
ভাইরাল হওয়া সেই ছাত্রী স্নেহা মনিকে বহিষ্কার করেনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম। এছাড়ও তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন না বলেও জানান অধ্যক্ষ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) এসব কথা বলেন অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী স্নেহা মনিকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। বিষয়টি অনেকেই ভুলভাবে উপস্থাপন করছেন। আসলে শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটি আবেদন করা হয়, যেখানে তারা উল্লেখ করেন স্নেহার বিদ্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াতে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পরিবারের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা তাকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) প্রদান করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীকে অকারণে বহিষ্কার করা হয় না। স্নেহার ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেনি। তার পরিবার স্বেচ্ছায় বিদ্যালয় ত্যাগের আবেদন করেছিল, আমরা কেবল তাদের অনুরোধ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।’
এর আগে, এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ওই শিক্ষার্থী নেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন। পরবর্তীতে তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়।
জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী স্নেহা মনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী নন, তিনি দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থী বলেন, “আমার বয়ফ্রেন্ড রাতে আমাকে আইসিটি শিখিয়ে দেয়।” ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে মেয়েটি আরেকটি ভিডিও বার্তায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চায়।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ শাখার পরিচালক প্রফেসর মো. রিজাউল হক বলেন, “কোনো শিক্ষার্থী যদি ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাকে বহিষ্কার করতে পারে কিংবা প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দিতে পারে ‘
তিনি আরও বলেন, তবে যদি কোনো শিক্ষার্থী একাডেমিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষ, পরীক্ষা বা প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত নিয়ম ভঙ্গের মতো অপরাধ করে তাহলে তার অপরাধের ধরন ও মাত্রা বিবেচনা করে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের একাডেমিক কমিটি বা শৃঙ্খলা কমিটি পর্যালোচনা করে গ্রহণ করে থাকে।












































