হয়তো কিছু বিচ্ছেদেই শান্তি থাকে, আর নিশ্চয়ই কষ্টের পরেই স্বস্তি থাকে: আবু ত্বহা আদনান
- আপডেট সময় : ০৪:৫২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ৬৪১ বার পড়া হয়েছে
এবার মুখ খুললেন আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান
স্বামী স্ত্রী একে অন্যের জন্য মুহাব্বাতের পবিত্র পোশাক, পোশাকের কাজই সতর ঢেকে রাখা, যদিও তা ক্ষতবিক্ষত হয় ! স্বামী হিসেবে আমি সেটাই আজীবন করে গেছি, আজও করছি। কারণ আজও আমি তার স্বামী ! আর আগামী কাল যদি আমি সে পোশাক না থাকি তবুও সেই দেহ সম্পর্কে আমি কোন বাজে মন্তব্য করব না যার জিম্মাদার আমি নই ! আমার দ্বীন আমাকে তাই শিখিয়েছে !
আল্লাহর কসম আমি তাদের প্রতিটি অপবাদ ও মিথ্যাচারের লাইন ধরে ধরে জবাব দিতে সক্ষম, হুজ্জাত সহ বিগত বছর গুলোর এক একটা জুলুমের ফিরিস্তি লিখতে, বলতে ও জানাতে সক্ষম। আমি করি নি। আর করবোও না। করেও আপাত দৃষ্টিতে কোন লাভও নেই। কারণ সমাজে ইউসুফের ভাইদের চোখের পানির দামটাই অনেক বেশি ! বরং আমি চাই সেই জবাব মহান আল্লাহ আল জাব্বার স্বয়ং দেন। নিশ্চয়ই ক্ষমা করা বা শাস্তি দেয়া শুধুই এক আল্লাহর ইখতিয়ার। দুটোর ওজনই অসীম !
ভুল স্বত্তায় অন্ধ ভালবাসার উপযুক্ত প্রতিদান বেশাক আমার প্রাপ্য ছিল আমি এরই যোগ্য ছিলাম , পেয়েছি। মেনেও নিয়েছি , তবে আল্লাহর কসম আর না
হে আমার জাতি ,
শুধু এতটুকু বলতে চাই ! আরশের মালিকের কসম আমাকে গুছিয়ে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে , কাবার রবের শপথ, আমি যিনাকার নই, মুহাম্মাদের রবের কসম আমি ব্যভিচারী নই যার হাতে আমার প্রাণ তার কসম তারা আমাকে যত্ত অপবাদ দিয়েছে তা থেকে আমি মুক্ত, কোন পরনারীর সাথে আমার কোন প্রকার হারাম সম্পর্ক নেই।
হুজ্জাত ছাড়াই নিজেদের গুনাহের পাল্লা ভারি করোনা, কাওকে যিনার অপবাদ দেয়ার শাস্তি ৮০ টা বেত্রাঘাত, চোখ বুজে গেলেই এক একটা শব্দের হিসেব রবের সামনে বুঝিয়ে দিতে হবে এটা ভুলে যেও না, আমার দোষ ভুল সত্ত্বায় মাত্রাতিরিক্ত মুহাব্বাত, উভয় পরিবারের মাঝে সুন্নাহ সম্মত ইনসাফ করতে চাওয়া, ক্ষমার উপরে ক্ষমা ও সবরের উপরে সবর করতে থাকা , দিনের পর দিন ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিজের প্রয়োজন ও মানসিক প্রশান্তির আশায় সুলাসা করতে চাওয়া যাতে আমার প্রথম স্ত্রী, মা কিংবা বোন সবাই সম্মত ছিল যা শরিয়তে হালাল তাতে যদি কেউ সম্মত না থাকতো তবে সে ঘরে বসে উত্তম বিচ্ছেদ (সারহান জামিলায়) চলে যেতে পারত ।
অতীত টেনে সম্পর্ক, স্বামী, সম্মান ও দ্বীনকে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতো না, আর সত্যি বলতে যার চোখে আমি এতটাই “চরিত্রহীন’ হয়ে থাকি তবে কেনইবা সে আমার মত অপবিত্র মানুষের সাথে সম্পর্ক রেখেছে বা রাখবে ? কোন স্বার্থে?? আর যারা পরতে পরতে অপবাদ দিয়ে গেছে তাদের ব্যপারে এক আল্লাহই যথেষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ !
~ফা সবরুন জামিল ~
আমি বিষয়টি দেশের বরেণ্য মুরব্বি ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে শারিয়া সম্মতভাবে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া মেনে সমাধানের পথে হাটছি, যারা ছেড়ে গেছেন, যেতে পারেন। যারা সাথে ছিলেন, তাদের বলব যদি ভবিষ্যতে প্রিয় মানুষদের দ্বারা আরও কোন ইলজাম, হেনস্থা, বা মিথ্যা মামলার স্বীকার হই (যার আশংকা উড়িয়ে দেইনা) অন্তত আপনাদের দুয়ার আমাকে শামিল রাখবেন,
আল্লাহর কসম আমি নবী ইউসুফ কিংবা মা আয়েশা তো নই, তবে তারা আমাকে যিনা ও ব্যভিচারের যে মিথ্যা তহমত দিয়ে গেছে তার সাথে আমার দূর দুরান্তের কোন সম্পর্ক নেই! অনুগ্রহ করে যখন আমি কোন দেহের পোশাক থাকব না তখন সেই দেহের ব্যাপারে আমাকে আমার পরিবার ও দ্বীনকে জড়িয়ে অনলাইন গরম করে আপনারা নিজেদের গুনাহ বাড়াতে যাবেন না ।
আমাদের সবার দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য এটাই হবে উত্তম অবস্থান । কোটি মানুষের শহরে আমার দুটো সন্তান আছে দুয়া করবেন তাদের বাবা যেন তাদের থেকে মাহরুম না হন, তারাও বাবার বুকের উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত না হয় ।
আল্লাহর কসম ! তারা আমার কাছে অনেক বেশিই প্রিয়, অনেক ভালবাসার, যাদের মুখের দিকে তাকিয়েই বছরের পর বছর সবর করে গেছি, আমার হুরপরি “আইশাহ” আমার “ইউসুফ” কলিজার টুকরা “উসমান” । এ বিষয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই , আমার সেই হালতও আর অবশিষ্ট নেই, এতবড় ক্ষতি করার পরেও আমি আমার যায়গা থেকে সাধ্যের শেষ টুকু করেছি, হয়তো এটাই তাক্বদিরের ফয়সালা ।
হয়তো কিছু বিচ্ছেদেই শান্তি থাকে, আর নিশ্চয়ই কষ্টের পরেই স্বস্তি থাকে । আল্লাহ পাক যেন দুনিয়া ও আখিরাতে জালেম ও মাজলুমের মাঝে উত্তম ফয়সালা করে দেন। আমিন।







































